ঢাকা,বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

চকোরী মেধা অন্বেষণ বৃত্তি পরীক্ষা প্রশ্নপত্রে গরমিল: পঞ্চম শ্রেনীর পরীক্ষা দিলেন তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
চকরিয়ায় গতকাল ৩ নভেম্বর চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠে সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত চকোরী মেধা অন্মেষণ বৃত্তি পরীক্ষা ২০১৭ এ প্রশ্ন পত্রে ব্যাপক গরমিল ধরা পড়েছে। চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে ২য় থেকে ৭ম শ্রেনীর ১৭৬০ জন শিক্ষার্থী এ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। তৎমধ্যে পঞ্চশ শ্রেনীর বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন পত্রে পরীক্ষা দিতে হয়েছে তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থীদেরকে। এতে করে প্রশ্নবৃদ্ধির সৃষ্টি হয়েছে এ পরীক্ষা নিয়ে। এ পরীক্ষায় ব্যাপক ভুল থাকার কারণে ফলাফল বন্ধ রেখে নতুন ভাবে পরীক্ষা নেয়ার দাবী করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
অভিযোগ উঠেছে, চকোরী মেধা অন্বেষণ বৃত্তি পরীক্ষা ২০১৭ এর পরিচালনা কমিটি নিজেদের প্রতিভা দেখাতে গিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরী করতে ব্যাপক গরমিল ধরাপড়ে। অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেনীর ও ৫ শ্রেনীর ইংরাজী ও গনিতের প্রশ্নে রয়েছে হুবুহু মিল । এ পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেনীর ৩১০ ও ৫ম শ্রেনীর ৩২৫ জন শিক্ষার্থী ছিল।
কর্তৃপক্ষ এসব কিছু না দেখে অদক্ষ্যতার পরিচয় দিয়ে নিজেদের মধ্যে গরমিল বিষটি গোপন রেখে পরীক্ষা চালিয়ে নেয়। এ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রদের ন্যায়।
তৃতীয় শ্রেনীর কয়েকজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের হয়ে বলতে শুরু করেছে, প্রশ্ন পত্র বইয়ের বাহির থেকে এসেছে। তারা যে বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে তা তাদের পাঠ্য বইয়ে নেই। বিষয়টি জানা জানি হয় অভিভাবক থেকে শুরু করে গৃহ শিক্ষকদের মাঝে। তার পর ধরা পড়ে এ গরমিল। পরীক্ষায় অংশ নেয়া এক অভিভাবক জানায়, তার এক কন্যা ৩য় শ্রেনি ও এক পুত্র ৫ শ্রেনীর মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেণ। বাড়িয়ে গিয়ে সন্ধ্যায় দেখা যায় প্রশ্নপত্র ২টিতে গণিত ও ইংরাজী বিষয়ে হুবুহু মিল রয়েছে। বিষয়টি দেখার মেধা বৃত্তি আয়োজক কমিটির এক সদস্যকে অবহিত করেন। কিন্তু তিনি প্রতিকার পাইনি। তিনি জানান, এ ধারণের অদক্ষ্য ও অর্থ আত্মসাৎ চক্র যদি কঁচিকাচা শিক্ষার্থীদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠে তা হলে আগামীতে এসব শিক্ষার্থীরা হতভম্ব হয়ে পড়ে দিকনির্দেশনা হারিয়ে মেধা শূন্য হয়ে পড়বে। তারা অবিলম্বে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফল বন্ধ রেখে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবী জানান।
বেশ কজন শিক্ষাক জানান, মেধা বৃত্তি পরীক্ষার নামে এক প্রকার ব্যবসা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া টাকা হালাল করতে তারা এসব নাম মাত্র মেধা বৃত্তি দিয়ে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাথা খাচ্ছে।
এ ব্যাপারে চকোরী মেধা অম্বেষণ বৃত্তি পরীক্ষা ২০১৭ এর আহবায়ক ও চকোরী সাংস্কৃতিক একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সভাপতি এস,এম এরফান উল হকের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে তিনি জানান, অনুষ্ঠিত মেধা বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরী করার সময় তৃতীয় শ্রেনীর প্রশ্নে ভুল ধরা পড়ার পর পুনরায় সংশোধন করে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন সরবরাহ দেয়া হয়। কিন্তু ভুল বসত ৭টি প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীর কাছে থেকে যায়। এ ব্যপারে বৃত্তি পরীক্ষা বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় যে পরীক্ষার্থীদের ভুল অংশে ৮০ ভাগ নাম্বার দিয়ে তাদের খাতা মূল্যায় করে ফলাফল প্রকাশ করার জন্য। পুনরায় পরীক্ষা নেয়া কোন সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: